অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ক্ষেপণাস্ত্র ও ইরানের ‘সরবরাহ’ করা ড্রোন দিয়ে রুশ হামলা প্রতিহত করতে এবার ইসরায়েলের শরণাপন্ন হলো ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন যে তিনি রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উন্নতির জন্য কিয়েভের অনুরোধ সম্পর্কে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ইসরায়েল ইউক্রেনকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র সতর্কীকরণ ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তারা অস্ত্র সরবরাহ করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছে দেশটি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ এক টুইট বার্তায় বলেছেন যে, ইরান ও রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক নিয়ে তিনি ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’। একই সময়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি তেহরানের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ড্রোন হামলাকে সমর্থন এবং ক্রিমিয়ায় প্রশিক্ষক ও প্রযুক্তিবিদ পাঠানোর অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য হলো, ক্রিমিয়ায় ইরানের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আছেন। তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযানে রাশিয়াকে সহায়তা করছেন। তারা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছেন এসব ড্রোন চালাতে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তেহরান এখন প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত। অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোর ক্ষতি করছে তারা। তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের ইউক্রেনের জনগণের বিরুদ্ধে এই অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবস্থা করার ব্যাপারে প্রতিরোধ এবং মোকাবিলা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সব উপায় অবলম্বন করবে।
ইউক্রেন হামলায় ব্যবহৃত এসব ড্রোন চিহ্নিত করেছে দেশটি। এগুলো মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি)-কে ইরানি শহীদ-১৩৬ অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযান চালানো জাপানি যোদ্ধা পাইলটদের নামানুসারে এগুলোকে কামিকাজে ড্রোনও বলা হয়। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে যে তারা একদিনে কমপক্ষে ৩৭টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। তবে রাশিয়াকে এই অস্ত্র সরবরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে ইরান।
ইউক্রেন বলছে যে রাশিয়া ইরান থেকে ড্রোনগুলো আমদানি করেছে, যেখানে এগুলো শহীদ-১৩৬ নামে পরিচিত, যেটিকে ‘বিশ্বাসের সাক্ষী’ বা ‘শহীদ’ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ প্রায় আট মাস ধরে চলছে। ক্ষণে ক্ষণে যুদ্ধের বাঁকবদল ঘটেছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ডামাডোলে গোটা বিশ্বে অর্থনৈতিক গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশে দেশে বেড়েছে খাদ্যসহ সব পণ্যের দাম। আরও একটি মন্দার কবলে পড়ছে বিশ্ব, এমন পূর্বাভাস মিলছে। সূত্র: ব্লুমবার্গ
Leave a Reply